636 Times Visited
A_Ahmed
অগাস্ট ২৭, ২০২২
পদ্মা সেতুঃ বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত পদ্মা-ব্রক্ষ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে তৈরি পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। এটি একটি সড়ক ও রেল সেতু। উপরে চার লেনের সড়ক পথ ও নীচে একক রেলপথ রয়েছে। প্রথমে শুধু সড়ক সেতুর কথ বলা হলে ও পরে এতে রেল সেতু যুক্ত করা হয়।
নির্মাণ ইতিহাসঃ ১৯৯৮ সালে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানী সহ দেশের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্ত ক্অরার নিমিত্তে প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয় এবং প্রাক সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়।
২০০৩-২০০৫ সালে- JICA এর অনুদানে চুড়ান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়।
২০০৬-২০০৭ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে, তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
২০০৮-০৯ সালে প্রকল্প প্রস্তুতির সাথে যুক্ত কিছু লোকের দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্যান্য দাতারা সেটি অনুসরণ করে। কিন্তু এই অভিযোগ পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমানিত হয়। এই পরিপ্রক্ষিতে দৃঢ়চেতা আওয়ামীলীগ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি করার পরিকল্পনা নেয়।
এইসিওএম-এর নকশায় পদ্মা নদীর উপর বহুমুখী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প 'পদ্মা বহুমুখী সেতুর' নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে।
মূল সেতুর জন্য চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনকে নিযুক্ত করা হয়। বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেডকে দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়। অক্টোবর ২০১৭ সালে মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ থেকে ২০২২ এর জুন মাস পর্যন্ত নির্মান কাজ চলে এবং ১৪ই জুন সেতর ৪১৫ টি বাতি একসাথে জালানোর মাধ্যমে সমস্ত নির্মান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
২৫ জুন’ ২০২২ মাননীয় প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন এবং সেতু পারাপারের জন্য প্রথম টোল প্রদান করেন।
মূল সেতুর বিবরণ -
সেতুর অন্যান্য তথ্যঃ
প্রকল্পের অঙ্গ(component) ভিত্তিক ব্যয় বিভাজন:
পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে বাংলাদেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি হল। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিঃমিঃ (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। সেতুটিতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের কারনে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।